ঈশ্বরদী উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভাল। বর্তমানে অধিকাংশ রাস্তাই পাকা। উপজেলা হেড কোয়ার্টারের সাথে সকল ইউনিয়ন হেড কোয়ার্টারের পাকা সংযোগ রাস্তা রয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদগুলোর পরস্পরের মধ্যে পাকা সংযোগ রাস্তাও রয়েছে। ভূ তাত্ত্বিক অবস্থান এ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ। পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক যেমনঃ ঈশ্বরদী - কুষ্টিয়া, ঈশ্বরদী- রাজশাহী, ঈশ্বরদী- পাবনা- নগরবাড়ী, ঈশ্বরদী-ঢাকা এবং ঈশ্বরদী-রাজশাহী (ভায়া নাটোর) এই উপজেলার উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে।
পদ্মানদীর উপর দিয়ে লালন শাহ্ সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সংক্ষিপ্ত ও সহজ হয়েছে। শুরু থেকেই ঈশ্বরদী উপজেলার রেল যোগাযোগ খুবই ভাল ছিল। ব্রিটিশকাল থেকেই ঈশ্বরদী একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংসন। ৪টি গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ ঈশ্বরদীর সাথে সংযুক্ত। এগুলো হল ঈশ্বরদী-খুলনা, ঈশ্বরদী-রাজশাহী, ঈশ্বরদী-পার্বতীপুর এবং ঈশ্বরদী -ঢাকা। এছাড়া ঈশ্বরদীতে একটি বিমান বন্দর রয়েছে। তবে বর্তমানে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিক কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে ঈশ্বরদী উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অতুলনীয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস