Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
উপজেলা পারিষদ ভবন
বিস্তারিত

এখানে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের পাশে রয়েছে ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে রূপসা-বাগেরহাট সেকশনে চালু হওয়া প্রথম ন্যারোগেজ ট্রেন-ইঞ্জিনটি। তার পাশেই আছে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় নিক্ষিপ্ত বোমার অংশবিশেষ। বিজয় অর্জনের মাত্র ৫ দিন আগে, ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর ভারতীয় বিমান বাহিনীর বোমার আঘাতে দ্বাদশ স্প্যানটি দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে পদ্মা নদীতে পরে যায় এবং নবম স্প্যানটির নিচের অংশ মারাত্মক ভাবে দুমড়ে যায়। ফলে উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পর ধ্বংসপ্রাপ্ত বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে সাড়া দেয় বিশ্ব সংস্থা। ব্রিটিশ ও ভারত সরকার অতি দ্রুত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ মেরামত করে দেয়। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে পুনরায় রেল চলাচল শুরু হয়।

 আরও দেখার মতো রয়েছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের স্থপতি রবার্ট উইলিয়াম গেইলসের তৈরি একটি বাংলো। প্রকৌশলী উইলিয়াম গেইলের নামানুসারে ‘গেলে কুঠি’ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে বাংলোটি। এই বাংলোতে বসেই তিনি হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নকশা জরিপ এবং নির্মাণ কৌশল উদ্ভাবন করেন। বাংলোটিও তাই কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। খুব সহজেই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারে এটি। রেল বিভাগের শহর পাকশীর আরেক ঐতিহ্য ন্যারো গেজ রেলপথ। বর্তমান প্রজন্মের কাছে রেলপথের ব্রড গেজ ও মিটার গেজ অতি পরিচিত। একদিন এ দেশেই ছিল মিটার গেজ ও ছোট ন্যারো গেজ রেলপথ। পাকশী রেল বিভাগের অফিসের সামনে দেখা মেলে ন্যারো গেজ রেলপথ ও বাষ্পচালিত ইঞ্জিন। সবই কালের সাক্ষী হয়ে আজও টিকে আছে। পাকশীতে আরও দেখা যায় চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ। এ বিদ্যালয়ে হাতেখড়ি হয়েছিল ভারতের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষসহ বহু গুণীজনের। শিক্ষার প্রাচীন এ বিদ্যাপীঠটি দেখতে গেলে একবিংশ শতাব্দীতে প্রবেশের মুখে স্মৃতির দুয়ার খুলে নিয়ে যায় বিংশ শতাব্দীর শুরুতে। অন্যদিকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস এ রূপপুর বাজারেরই এক কড়ইতলায় কাশেম মোল্লার চায়ের দোকানে বিবিসির বাংলা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের খবর শুনতেন আশপাশের গ্রামের মানুষ। সেই থেকেই বিবিসি বাজার নামে আজও পরিচিত হয়ে আছে বাজারটি। এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভাগীয় অফিস, উত্তরবঙ্গের কাগজ কল, ইপিজেড ও ঐতিহাসিক ভারতবর্ষের ফুরফুরা খানকা শরীফ এবং পাকশী রিসোর্ট।