বর্তমানে উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ‘‘ ঈশ্বরদী উপজেলা ’’ পাবনা জেলার মধ্যে একটি দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। জনসংখ্যার দিক দিয়ে এটি পাবনা জেলার মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম উপজেলা। প্রাপ্ত তথ্য মতে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৯ খ্রিঃ তারিখে প্রথমে ‘‘ঈশ্বরদী থানা’’ হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এবং দায়িত্বাবলী বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৬০ সালে ‘‘ উন্নয়ন সার্কেল ’’ (আবগ্রেডেড থানা) হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। সর্বশেষ ১৯৮৩ সালে ‘‘ ঈশ্বরদী উপজেলা ’’ হিসেবে এর নামকরণ করা হয়। ঈশ্বরদী উপজেলাটি পাবনা জেলার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এর উত্তরে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম ও লালপুর উপজেলা, পশ্চিমে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা, দক্ষিণে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা এবং পূর্বে পাবনা জেলার পাবনা সদর ও আটঘরিয়া উপজেলা। এ উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্ব দিয়ে প্রবাহিত পদ্মানদী। ২৪°০৩র্ হতে ২৪°১৫র্ উত্তর অক্ষাংশে এবং এবং ৮৯°০র্ হতে ৮৯°১১র্ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে ১২.৯ মিঃ সমুদ্র সমতল থেকে উপরে উপজেলাটির অবস্থান।
ঈশ্বরদী উপজেলার নামকরণ নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে। নামকরণ সম্পর্কে তেমন কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে অধিকাংশের মতে ঈশা খাঁর আমলে এ উপজেলার টেংরী গ্রামে ডেহী/কাচারী (Dehi/Kachari) ছিল। এখানে ঈশা খাঁর রাজস্ব কর্মচারীরা বসবাস করতেন এবং রাজস্ব আদায় করতেন। ঈশা খাঁ এখানে অনেকবার গমন করেছেন। সময়ের ব্যবধানে ঈশা খাঁ ( Isha Khan ) এর Isha এবং Dehi এই শব্দ দু’টির সমন্বয়ে পরিবর্তনের মাধ্যমে Ishwardi (ঈশ্বরদী) এর নামকরণ হয়। এই নামকরণটি বর্তমানে বেশী পরিচিত।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS