Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Welcome to the web portal of Ishwardi Upazila.


ভাষা ও সংষ্কৃতি

ঈশ্বরদী উপজেলার অধিকাংশ জনসাধারণ বাংলা ভাষায় কথা বলে। ঈশ্বরদী উপজেলার সাধারণ অধিবাসীদের প্রধান খাবার ভাত, ডাল, সব্জি এবং মাছ। তবে বর্তমানে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকজন পরিমাণ মত মাছ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারছেন না। ধনী শ্রেণীর লোকেরা পরোটা, পাউরুটি, মাখন, ডিম, সব্জি দিয়ে সকালের নাস্তা করেন। দুপুরে ও রাতে ভাত, সব্জি, মাছ, মাংস ও ডাল খান। মাঝে মধ্যে ভাতের পরিবর্তে পোলাও/ বিরিয়ানী খেয়ে থাকেন। গরীব লোকেরা সকালে পান্তা ভাত, মুড়ি, চিড়া প্রভৃতি খান। দুপুরে ও রাতে ভাত, সব্জি ও ডাল খান। তারা মাসে ২/৩ দিন খাবারের সাথে মাছ খেতে পারেন। শহরের লোকেরা গ্রামের লোকদের চেয়ে বেশী পরিমাণে মাংস ও রুটি খান। চা পানের অভ্যাস লোকজনের মধ্যে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে লোকজন বিভিন্ন ধরনের পিঠা, পায়েস, খৈ, মিষ্টি ও বিস্কুট খেয়ে থাকেন। কিছু সংখ্যক হিন্দু ভেজিটেরিয়ান, তারা মাছ-মাংস খান না। 

 

দেশের অন্যান্য এলাকার লোকজনের পরিধেয় বস্ত্রের সাথে এ এলাকার মিল দেখা যায়। সাধারণতঃ বাড়িতে পুরুষরা লুঙ্গি, গেঞ্জি এবং মহিলারা শাড়ি, পেটিকোট, ব্লাউস এবং মেক্সি পরিধান করেন। শিক্ষিত পুরুষরা বাড়ির বাইরে প্যান্ট, শার্ট এবং পাঞ্জাবী পড়েন, কেহ কেহ শীতকালে স্যুট, টাই এবং জুতা পড়েন। পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই পায়ে স্যান্ডেল পড়েন। খুব গরীব লোকেরা খালি পায়ে চলাফেরা করেন। সকল সম্প্রদায়ের মহিলারা সাধারণতঃ শাড়ী, সালোয়ার ও কামিজ পড়েন তবে বিবাহিতা হিন্দু মহিলারা পড়েন শাড়ী এবং হাতে শাখা। কিছু মুসলিম মহিলারা বোরকা পড়েন। বালকেরা সাধারণতঃ হাফপ্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট এবং বালিকারা ফ্রক এবং হাফপ্যান্ট পড়েন। ধনী মহিলারা স্বর্ণের এবং গরীব মহিলারা রূপার তৈরী গহণা পড়েন। আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব পোশাক ও গহনা পরিধান করে থাকেন।