পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের পাশে আলহাজ্ব মোড়ের উত্তরে এ কেন্দ্র ২টি অবস্থিত। আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (আরএআরএস) ১৯৪৬ সালে উন্নত বীজ ও চারা উৎপাদনের লক্ষ্যে ‘‘ নিউক্লিয়াস সীড মাল্টিপ্লিকেশন ফার্ম’’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৫ সালে এটি হর্টিকালচারাল শষ্যের গবেষণার উদ্দেশ্যে ‘‘ হর্টিকালচারাল রিসার্চ সাব-স্টেশন ’’ নামে রূপান্তরিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে ‘‘ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ সাব-স্টেশন ’’ নামে উন্নীত হয়। কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ প্রতিষ্ঠানটি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৭৬ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা স্বায়ত্বশাসন লাভ করে এবং তখন এই প্রতিষ্ঠানটি উন্নীত হয়ে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে এ কেন্দ্রটির আওতায় ৪টি ‘‘ ফার্মিং সিস্টেম রিসার্চ সাইট’’ (এফএসআর)সহ ৭টি উপ-কেন্দ্র এবং অন-ফার্ম রিসার্চ ডিভিশন (ওএফআরডি) এর ২৩টি ‘‘ মাল্টি লোকেশন টেস্টিং সাইট’’ (এমএলটি) রয়েছে। রাজশাহী বিভাগের ১৬টি জেলা এ কেন্দ্রটির আওতায় রয়েছে।
আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর ক্যাম্পাসে ডাল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান দপ্তর (হেড কোয়ার্টার) অবস্থিত।১৯৯০-৯৫ সালের সিডিসি ফেজ-১ এর আওতায় ১৯৯৪ সালে এই কেন্দ্রে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে এ কেন্দ্রটি ডালশষ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে এ দেশের বিভিন্ন ডালশষ্যের উন্নত ও বেশী উৎপাদনশীল জাত উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ডাল গবেষণা কেন্দ্রটি এ পর্যন্ত ডালের ২৪টি জাত উদ্ভাবন করেছে যা কৃষক পর্যায়ে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ক্যাম্পাসে ডাল গবেষণা কেন্দ্র ছাড়াও কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (এটিআই), বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিআইএনএ), বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি (এসসিএ) এবং কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হর্টিকালচার বেস রয়েছে। এ কেন্দ্রটির নিজস্ব ৫৭.৮৩ হেক্টর জমিসহ ক্যাম্পাসে মোট ৮১.২৭ হেক্টর জমি রয়েছে। জাতীয় কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য এ কেন্দ্রটি ১৯৮১ সালে ‘‘ প্রেসিডেন্ট স্বর্ণ পদক ’’ লাভ করেছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS